Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

এক নজরে

এক নজরে

 

১। শিবগঞ্জ উপজেলার সংক্ষিপ্ত ইতিহাসঃ বাংলাদেশের প্রাচীন সভ্যতার যে ইতিহাস পাওয়া যায় সেখানে বগুড়ার অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যবহ। আড়াই হাজার বছরের পুরোনো এই সভ্যতার নাম ছিল পুণ্ড্রবর্ধন। বর্তমানে বৃহত্তর রাজশাহী, বগুড়া, দিনাজপুর, রংপুর নিয়ে গঠিত পুণ্ড্র জনপদের রাজধানী ছিল পুণ্ড্রনগর যার বর্তমান নাম মহাস্থানগড়। মৌর্য ও গুপ্ত যুগের পুণ্ড্রনগর ছিল মৌর্য ও গুপ্ত অধিকৃত বাংলার রাজধানী। খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দী থেকে খ্রিস্ট্রীয় ১৫শ শতাব্দীর মধ্যে এ নগর ছিল এক সমৃদ্ধশালী জনপদরূপে গড়ে উঠে। বেশ কয়েক শতাব্দী জুড়ে এই স্থান মৌর্য, গুপ্ত, পাল এবং অন্যান্য হিন্দু রাজাদের প্রশাসনিক কেন্দ্র ছিল। পররর্তীতে এ নগরি থেকেই সর্ব প্রথম ইসলামের প্রচার শুরু হয়। দ্বাদশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে হযরত শাহসুলতান বলখি মাহিসওয়ার (রহঃ) পুণ্ড্রবর্ধনের রাজা পরশরামকে পরাস্ত করে এ অঞ্চলে ইসলামের নিশান স্থাপন করেন।

 

২। উপজেলার নামকরণঃ কথিত আছে যে, শিবগঞ্জ হিন্দু অধ্যষিত এলাকা। পূর্বে এ এলাকায় হিন্দুদের পূজাপার্বরে অসংখ্য শিব মন্দির ছিল। শিব মন্দিরকে কেন্দ্র করে বন্দর-গঞ্জ গড়ে উঠে। এরই ফলশ্রুতিতে এ উপজেলার নাম শিবগঞ্জ উপজেলা।

 

৩। সীমানাঃ উত্তরে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা, দক্ষিণে বগুড়া সদর ও দুপচাঁচিয়া, কাহালু উপজেলা, পূর্বে সোনাতলা ও গাবতলী উপজেলা এবং পশ্চিমে জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলা।

৪। অক্ষাংশঃ ভৌগোলিক অবস্থান উত্তর অক্ষাংশের ২৩° ২৯’ এবং ২৩°৪২’ এর মধ্যে।

৫। দ্রাঘিমাংশঃ ভৌগোলিক অবস্থান পূর্ব দ্রাঘিমাংশের ৯০° ৫৯’ এবং ৯১° ০৫’ এর মধ্যে।

৬। আয়তনঃ ৩১৪.৯২ বর্গ কিলোমিটার।

৭। পৌরসভাঃ ১টি। এর ওয়ার্ড সংখ্যা ০৯টি।

৮। ইউনিয়নের সংখ্যাঃ ১২টি। এর ওয়ার্ড সংখ্যা- ১০৮টি।

৯। ইউনিয়নের নামঃ ১) ময়দানহাটা ২) কিচক ৩) আটমুল ৪)পীরব ৫) মাঝিহট্ট ৬) বুড়িগঞ্জ ৭) বিহার ৮) শিবগঞ্জ ৯) দেউলী ১০) সৈয়দপুর ১১) মোকামতলা ১২) রায়নগর।

১০। গ্রামের সংখ্যাঃ ৪০৯টি।

১১। মৌজার সংখ্যাঃ ২৩৭টি।

১২। মহল্লার সংখ্যাঃ ৩১টি।

১৩। মোট জনসংখ্যাঃ পুরুষঃ ১৯০,৩৭৬ জন, মহিলা ১৮৮,৩২৪ জন মোট ৩,৭৮, ৭০০ জন । (২০১১ সালের আদম শুমারি অনুযায়ী)

১৪। শিক্ষার হার ৪৪.১০% ।

১৫। দারিদ্রের হারঃ ২২% ।

১৬। জনগণের পেশাঃ প্রধান পেশা কৃষি।